শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবুর চাষ! লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নলিনী চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটে রসালো লিচু এখন লাল রঙে রাঙাচ্ছে! লালমনিরহাটে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত রেলওয়ে খাতে উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক স্টেভি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু লালমনিরহাটে দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস উদযাপিত লালমনিরহাটে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই প্রতিযোগিতা ও ফুটবল প্রশিক্ষণ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের কৃষকেরা পাট ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত লালমনিরহাটে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে লাপাত্তা অধ্যক্ষ; বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ!

লালমনিরহাটে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে লাপাত্তা অধ্যক্ষ; বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ!

এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে রবিউল আলম নামে এক কলেজ অধ্যক্ষ।

 

এ ঘটনায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থীর বাবা।

 

অভিযুক্ত রবিউল আলম লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

 

ভুক্তভোগী ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

 

অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর বাবা নদী ভাঙ্গণ কবলিত দিনমজুর হওয়ায় তার ফরম পূরণের টাকা কিছু কমানোর জন্য অধ্যক্ষ রবিউল আলম বরাবর আবেদন করেন। তখন ওই শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ রবিউল তার মোবাইল নম্বর দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে গত ৯ মার্চ ইফতার ও নামাজের পরে মা ও বড় বোনের সামনে মোবাইল ফোনের লাউড স্পীকার চালু করে অধ্যক্ষ রবিউল আলমকে ফোন করে ফরম পুরণের বিষয়ে জানতে চায় ওই শিক্ষার্থী। তখন অধ্যক্ষ মেয়েটির পরিচয় পাওয়ার পর তাকে রাতে দেখা করতে বলেন। মেয়েটি প্রতিত্তোরে বলে, “আমি মেয়ে মানুষ রাতে কিভাবে দেখা করি।” তখন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ বলেন, “এখনিতো তোমার দেখা করা উচিত, কারণ আমি এখন রোজা নাই।” মেয়েটি এ কথা শোনার পর লজ্জিত হয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন বলে লিখিত ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে এসে অশ্রুসিক্ত নয়নে দিনমজুর বাবা বলেন, আমি তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার খেটে খাওয়া একজন দিন মজুর মানুষ। তাই পরীক্ষার ফরম পূরনে কিছু টাকা কম নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। অধ্যক্ষ এই সুযোগে আমার মেয়েকে কু প্রস্তাব দিয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিলাম দেখি তিনি কি করেন।

 

ভুক্তভোগী ওই এইচএসসি পরিক্ষার্থী বলেন, এমন নেককারজনক কাজের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সহপাঠীদের নিয়ে রাস্তায় নামবো।

 

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই অধ্যক্ষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে বাড়িতে, অফিসে কোথায় পাওয়া যাচ্ছে না।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রবিউল আলম এর বক্তব্য জানা যায়নি।

 

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বিষয়টির কার্যকর ব্যবস্থা নিতে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone